শিরোনাম:

যেভাবে হয়েছিল ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার একতরফা নির্বাচন

পাকিস্তানের সিরিজ জয়

রাজশাহীর তিন পৌরসভায় আ.লীগ, একটিতে ‘বিদ্রোহী’র জয়

দক্ষিণ সুরমায় ইন্টারনেট প্রোভাইডার্স এসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ

সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জি এম আজমের ভাই এর মৃত্যুতে মহানগর জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ এর শোক প্রকাশ

পুলিশের এসআই আকবর, নায়ক না খলনায়ক?

নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশিত : অক্টোবর ১৩, ২০২০

 আজকের কাগজ ২৪
 অক্টোবর ১৩, ২০২০ইং

পুলিশের এসআই আকবর, নায়ক না খলনায়ক?

উবায়দুর রহমান সজিবঃ সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় পরিচালিত গ্রীণ বাংলা ইউটিউব চ্যানেলে জনপ্রিয় নাটিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি মন কেড়ে নিয়েছেন হাজারো দর্শকের। নাটকে একজন দায়ির্ত্বশীল পুলিশ হিসেবে তাকে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যেতো। দর্শকরাও মনে করতেন তিনি খুব ভালো মানুষ।

কিন্তু নাটক আর বাস্তব পুরোপুরি উল্টো। নাটকে তিনি যতটুকু সৎ ও নিষ্ঠাবান, বাস্তবে তিনি ততটুকুই খারাপ। শুধু খারাপ নয়, জঘন্য খারাপ। তিনি হলেন, কোতোয়ালী থানার এসআই বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন ভুইয়া। পুলিশ ফাড়িতে যুবক মৃত্যুর ঘটনায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার সাথে ৩ জনকে বরখাস্ত ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়।

রোববার (১১ অক্টোবর) ভোরে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তার স্বজনরা। নিহত ওই যুবক সিলেটের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। এ প্রেক্ষিতে নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে সোমবার সিলেট কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার (২০, তারিখ- ১২.১০.২০২০ইং)। সিলেট প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মিত্র ।

জানা যায়, রায়হান হত্যার খলনায়ক এসআই আকবর। বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ৩ নাম্বার রুম ছিলো আকবরের টর্চার সেল। সাধারণ লোকজনকে ধরে ৩ নাম্বার রুমে এনে টর্চার করতেন। পরে চাইতেন মোটা অংকের টাকা। যারা টাকা দিতো তাদেরকে ছেড়ে দিতেন। আর যারা টাকা দিতো পারতো না তাদেরকে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখাতেন। এভাবেই চলছিল তার বেআইনীর রাজত্ব।

শুধু তাই নয়- বন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরাও তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। বন্দরের কয়েকজন ব্যবসালী বলেন, প্রতিদিন এসআই আকবরের লোকজন এসে চাঁদা নিতো। চাঁদা না দিলে মারধর করতো, মালামাল নিয়ে যেতো। অনেক সময় বন্দর ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে যেতো আকবরের লোকজন। সেখানে অমানষিক নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করতো।

নিহত রায়হানের পুরো শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। পায়ে একাধিক আঘাত, হাতের নক তোলা। পুরো শরীরে রক্তাক্ত জখম। ধারণা করা হচ্ছে- মৃত্যুর আগে তাকে খুব বেশী মারধর করা হয়েছে।

রায়হান হত্যার ঘটনায় এসআই আকবরকেই খলনায়ক বলছেন নিহতের আত্মীয়স্বজন। তারা বলছেন- আকবরের নেতৃত্বেই রায়হানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে রায়হান হত্যার ঘটনায় এসআই আকবরসহ ৭ পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এসআই আকবরসহ ৪ জনকে সাময়িক বহিস্কার ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়েছে এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার। তিনি বলেন, সাময়িক বরখাস্তকৃত চারজনের মধ্যে রয়েছেন ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন ভূঁইয়া, তৌহিদ, টিটু ও হারুনুর রশিদ। তাদের মধ্যে এএসআই পদবীর একজন রয়েছেন। প্রত্যাহারকৃত ৩ জনের নাম তিনি বলতে পারেননি।

রায়হান হত্যার বিচার প্রসংগে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবেক প্যানেল মেয়র মখলিসুর রহমান কামরান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আর যে মোবাইল দিয়ে ফোন করা হয়েছিল সেই কল রেকর্ড বের করলেই রহস্য বের হবে। খুনী যেই হোক তাকে যেন অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়, অন্যথায় আমার ওয়ার্ডের মুরব্বিদের সাথে আলোচনা করে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষনা করবো।

� পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ �
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত